ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন, অপরজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
শিশু হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন, অপরজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড আদালতের রায়: প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর শ্যামপুর এলাকায় সাত বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে হত্যার দায়ে মো. হানিফ নামে একজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জাহিদ হোসেন নামে অপর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৫ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। যেহেতু মামলার ১ নম্বর আসামি হানিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম। প্রত্যাশিত রায় পাইনি, তাই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত আব্দুল্লাহর মা আয়েশা আক্তার বলেন, আমার সাত বছরের ছেলে আব্দুল্লাহকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে হানিফ ও জাহিদ। আমি ছয় বছর ধরে আদালতে ঘুরেছি ছেলে হত্যার বিচারের আশায়। তারা এ মামলায় জামিন পেয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে অনেক ভয়ভীতি দেখিয়েছে। টাকার বিনিময়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি আপস করিনি। এ রায়ে আমি মোটামুটি খুশি। যেহেতু আসামিরা বাইরে, তাই আমি পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তারা যেকোনো সময় আমাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।  

জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিরা সাত বছর বয়সী আব্দুল্লাহকে কদমতলী থানাধীন উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশের বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতরে পতিত জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে পাথর দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর পাথর দিয়েই চাপা দিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় আব্দুল্লাহর বাবা গোলাম মোস্তফা মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক এরশাদ হোসেন হানিফ ও জাহিদ হোসেন নামে দুইজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত বিভিন্ন সময়ে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।