সিলেট: বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকের সফর প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য ‘টুইস্ট’ করা হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা বারবার দেশে সফরে আসার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলাম, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। বিদেশি কূটনীতিকরা এসেছেন আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে।
কিন্তু সাংবাদিকরা আমার বক্তব্য ভিন্নভাবে লিখেছেন, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে বিদেশি কূটনীতিকরা সফরে এসেছেন। পাঠকপ্রিয়তা পেতে তথ্য যাচাই না করে এ বক্তব্য সবাই ‘টুইস্ট’করেছেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সত্য তথ্য প্রকাশ করলে জাতি উপকৃত হবে। গণমাধ্যম ছাড়া চলা সম্ভব নয়। তাই সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের আরও সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মিথেন গ্যাস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা এসডিজিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবো। এছাড়া দেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ খাত অনেক অবদান রাখছে। এ বিষয়টি মানুষকে জানাতে হবে। যাতে এ খাতে বিনিয়োগে মানুষ আরও উৎসাহী হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।
অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে। তিনি গভীর সমবেদনা জানিয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এদিকে, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক বিভাগীয় মিডিয়া ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তুরস্ক বলেছে এখনো বহু মরদেহ নিচে রয়ে গেছে। তবে উদ্ধারকাজ চলছে। তারা বলেছেন, পরবর্তীতে রিকনস্ট্রাকশন, এদের বাড়িঘর বানাবে। আমরা বলেছি, তোমরা যদি বাড়িঘর বানাতে চাও, লেবারের যদি দরকার হয়, আমাদের লেবার আমরা দিতে পারবো। তারা বলছেন, লুকিং টু ইট। তাদের অবশ্য কনস্ট্রাকশনের লোক আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের প্রশংসা করেছেন যে, সঠিক সময়ে আমাদের লোকজন সেখানে পৌঁছেছেন। আর বলছিলেন, উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে যাওয়া আমাদের লোকজন আরও কিছুদিন সেখানে থাকতে পারবে কিনা? প্রধানমন্ত্রীও সে সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এছাড়া তুরস্কে বাংলাদেশের ২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে যারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮: ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ