পাবনা (ঈশ্বরদী): পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার রেলপথ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ।
এসময় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ের রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ঈশ্বরদী জংশন থেকে ঢালারচরের উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। একটি গ্যাংকার ছেড়ে ঢালারচর প্রবেশ করেন দুপুরে। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ফের ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসেন।
এ রুটে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ট্রেন চলাচল করানোর জন্য ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ১০টি রেলওয়ে স্টেশনের সিগনালিং, বৈদ্যুতিক রেললাইন, স্টেশন ভবন সেতু, রেলওয়ে ব্রিজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন করে দেখেন কোনো ত্রুটি বা সমস্যা আছে কিনা?
এসময় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট মঞ্জুর মোর্শেদ, পাকশী বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজ) হাসান আলী (পথ) বাকিয়াতউল্লাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার রেলপথে ১০টি রেলওয়ে স্টেশনে পাবনার ঢালারচর-রাজশাহী রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে শুধুমাত্র একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। তবে স্টেশনগুলো লোকবল সংকটের কারণে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক অস্থায়ী লোকবল দিয়ে রেলপথে ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
আরএ