ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগুন বিষয়ক সচেতনতার বিকল্প নেই: আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
আগুন বিষয়ক সচেতনতার বিকল্প নেই: আতিক ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগুন বিষয়ক সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে অগ্নিকাণ্ডের শিকার বাসভবনটি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা ফ্যাক্টরিতে বা গার্মেন্টসে প্রতিনিয়ত অগ্নিমহড়া করছি, সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু বাসা বাড়িতে সাধারণত সেটা হয় না। সত্যিকার অর্থে ফ্ল্যাট কেনেন কিংবা নিজে বাড়ি করেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আগুন যেকোনো সময়েই লাগতে পারে। এ ভবনটি সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু এতো সুন্দর ভবন অথচ আগুন লাগলো। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির জন্য ফায়ার ড্রিল করার মতো গার্ড ও বাসিন্দারা প্রশিক্ষিত ছিল না। সাধারণত থাকেও না।  

তিনি বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আগুন লাগতেই পারে। কিন্তু যেটা দরকার সেটা হচ্ছে সেফটিনেস ও সচেতনতা। এ ভবনে যারা ছিলেন তারা যথেষ্ট সম্পদশালী ও শিক্ষিত। কিন্তু একটা আগুনেই তারা ভবনে আটকে গেছেন। আজকে তারা আটকে গেছেন, কালকে আমিও আটকে যেতে পারি, আপনিও আটকে যেতে পারেন।  

তিনি আরও বলেন, ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিং লাইন ও ইলেক্ট্রনিক লাইন একই পাইপে উঠেছে। দুই লাইনের মাঝে সেপারেশন থাকে। সেটা যদি না থাকে বা মাঝে যদি কোনো দাহ্য পদার্থ থাকে তাহলে কিন্তু সেপারেশন হলো না। সেটা আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ফায়ার সার্ভিসকে দেখতে বলেছি। সেন্ট্রাল এসি ছিল। সেটা থেকে কোনো কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটা তদন্ত হবে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে।  

মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের অগ্নি সচেতনতামূলক কার্যক্রম আছে। আমরা বই দিয়েছি, মহড়া দিচ্ছি। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সোসাইটি রয়েছে যেমন গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটি তারা যদি এগিয়ে আসে আমাদের বই নেয়, মহড়ায় অংশ নেয়, কেন অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে? ভূমিকম্প হলে কি করতে হবে? তা যদি শেখেন তাহলে অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সর্বোপরি কথা সচেতনতা।  

এর আগ, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান ২-এর ওই ভবনের সাততলায় আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট।

এ ঘটনায় ভবন থেকে শিশু ও নারীসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। পরে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।