বাগেরহাট: সুন্দরবন থেকে আটক চার দস্যু ফজলু বাহিনীর সদস্য। এদের প্রধান মো. ফজলু শেখ (৪২) দস্যুতা ছেড়ে সরকারের আহ্বানে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) কেএম আরিফুল হক।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান, মো. রাসেলুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলমসহ জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদী সংলগ্ন সূর্যমুখী খাল থেকে মোংলা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চার দস্যুকে আটক করে। তারা হলেন, রামপাল উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত আহাদ আলীর ছেলে মো. ফজলু শেখ (৪২), শিকিরডাঙ্গা এলাকার মো. মোতালেব শেখের ছেলে মজনু শেখ (৩০), পেড়িখালীর মৃত জোনাব আলী মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ মোড়ল (৪০) ও জিগিরমোল্লা এলাকার নজরুল শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ (৩২)। এর মধ্যে ফজলু শেখ ও মজনু শেখ আত্মসমর্পণকৃত দস্যু। তাদের কাছ থেকে ১টি কাঠের পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, ১টি দেশীয় একনলা বন্দুক ও ওয়ান সুটার গান, ৭টি সিসার কার্তুজ, ২টি রামদা, ২টি লোহার হাতুড়ি, ১টি লোহার পাইপ, ৪টি টর্চ লাইট, ৪টি গামছা, ১০ টুকরা নাইলনের রশি, ২টি স্কচ টেপ, ৪টি লাঠি, ২টি মানকি টুপি জব্দ করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোংলা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ফজলু শেখ আত্মসমর্পণকৃত দস্যু হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা পেয়েছেন। এরপরও সে দস্যুতায় জড়িয়েছে। ফজলু বাহিনীর অন্য যে সদস্য রয়েছে, তাকে আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আটক দস্যুরা বরগুনার জেলে অপহরণের সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে, নানা আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেসব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
এমএমজেড