ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে: কৃষিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধটি একটি মহাকাব্য, আর এর অবিসংবাদিত মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা এখন সমার্থক। এ উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে রূপান্তর হবে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি নিয়েও প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসেবে কলকাতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।  

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

তিনি বলেন, ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে একটি জাতি বেঁচে থাকে, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে পথে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর পরিকল্পিতভাবে এ ইতিহাসকে বিকৃত করেছে বিএনপি, জামায়াত, রাজাকার, আলবদরসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তারা এখনো ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাসবিস্মৃত হয়ে ও প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। এদের ব্যাপারে দেশ-বিদেশে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছেন, যে উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান। যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।

সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক ইনডেক্সগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দারিদ্র্য অর্ধেক কমিয়ে এনেছি অর্থাৎ ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ। অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা যেখানে ১৮-১৯ শতাংশ ছিল সেটা এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হয়েছে সেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত অনেক বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। একাধিক বিষয়ে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে সাযুজ্য রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এ সুসম্পর্ক আজীবন অটুট থাকবে।

সভায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য (এমপি) নজরুল ইসলাম বাবু। এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর।

সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সভাপতি মীর এম এম শামীমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আনোয়ারুল হক ভূইয়া, আন্তঃদেশীয় সমন্বয়কারী অবনী কুমার ঘোষ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
টিএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।