ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরীক্ষা না দিয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এলাকায় তোলপাড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
পরীক্ষা না দিয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এলাকায় তোলপাড়

ফরিদপুর: এবার ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক ছাত্র ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস এম আব্বাস হোসেন (রোল নম্বর-২৬৩) নামে এক ছাত্রের নাম আসে বৃত্তির তালিকায়। সে সংশ্লিষ্ট এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তবে সে বৃত্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু আহাদ নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল সারাদেশে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হলেও ওইদিন সন্ধ্যার আগে ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করা হয়।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ১৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৩২জন তালিকা ভুক্ত হয়। সেখান থেকে ৭৩২জন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এ উপজেলা থেকে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। যার মধ্যে ২৪ জন রয়েছে ছাত্র ও ২৪ জন ছাত্রী। এ উপজেলায় ১২১ জন ছাত্র-ছাত্রী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। যার মধ্যে ৫৯ জন রয়েছে ছাত্র ও ৬২ জন ছাত্রী। তবে রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই বছর ৪ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র এস এম আব্বাস হোসেন (রোল নম্বর-২৬৩) নামের যে শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে; সে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে তিনজন পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা ফেল করেছে।

এ ব্যাপারে রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রানী চন্দ্র বলেন, এসএম আব্বাস হোসেন অসুস্থ থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। তবে কীভাবে তার রোল নম্বরটি পরীক্ষার ফলাফল সীটে এসেছে তা বলতে পারবো না।

বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহাদ বলেন, ১৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৩২জন তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ৭৩২জন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এ উপজেলায় ১২১ জন ছাত্রছাত্রী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ত্রুটির কারণে সারাদেশের প্রাথমিকের বৃত্তির ফলাফল স্থগিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর বোয়ালমারীর একজন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে জানতে পেরেছি।

অপরদিকে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাতিকণা বিশ্বাস জানান, এ উপজেলার ৭৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ২৫৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে ২৪ জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। আর ৯১ জন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।