রাজশাহী: এবার পূর্ণাঙ্গ হজ হবে। দেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার হজ প্রত্যাশী এ বছর সৌদি আরব যাবেন।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। হজ প্রত্যাশী প্রত্যেকেই যাতে সুন্দরভাবে তার ফরজ পালন করতে পারেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে বলেও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
ফরিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, আমরা সবাই বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সংখ্যালঘু বললে অন্যদের অসম্মান করা হয়। কাজেই ধর্মীয় সম্প্রীতি যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল সব ধর্মের মানুষ সম-অধিকার পাবে। সেটা আমরা অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা মডেল মসজিদ, গির্জা, মন্দিরসহ ধর্মীয় অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। সব ধর্মই আমাদের কাছে সমান।
ফিতনা-ফাসাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আমরা সবাই উদার হতে পারছি না। প্রত্যেক ধর্মেই বলা আছে আপনার প্রতিবেশী খেতে পারছে কিনা সেটার খোঁজ নিন, যাতে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্প্রদায়িক শান্তির কথা বলে গেছেন। আমাদের রাষ্ট্রীয় চারটি নীতির একটি নীতিও সে কথাই বলে। প্রধানমন্ত্রী সেই নীতিতে কঠোর অবস্থানে আছেন।
এ সময় সরকারের গত ১৪ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আরও দায়িত্বশীল হতেও পরামর্শ দেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সংলাপে সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীন, রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এসএস/এমজে