টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে অপারেশনের টেবিলে অতিরিক্ত অ্যানেস্থেসিয়া (অজ্ঞান করার ওষুধ) প্রয়োগের ফলে জায়েদা বেগম (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে শহরের জনতা ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত জায়েদা বেগম বাসাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে জরায়ু অপারেশনের জন্য জায়েদা বেগমকে টাঙ্গাইল শহরের জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। ডা. আখলিমা খাতুনের তত্ত্বাবধানে বিকেলে অপারেশনের আগে তাকে অজ্ঞান করা হয়। পরবর্তীতে তার আর জ্ঞান না ফেরায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। সেই মতো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি করে রোগীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
স্বজনদের দাবি, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জনতা ক্লিনিকের মালিক নবাব আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে আমার কোনো দোষ নেই। ডাক্তার রোগী ভর্তি করেছেন, আবার ডাক্তারই তাকে নিয়ে গেছেন। এটা ডাক্তারের বিষয়। আমি শুধু ডাক্তারকে টাকা দেই, এই পর্যন্তই। এরপরই তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে যান।
তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি উল্লেখ করে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ছালাম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
এনএস