ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বীকৃতির দাবিতে ৭দিন ধরে অনশন, আত্মহত্যার হুমকি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
স্বীকৃতির দাবিতে ৭দিন ধরে অনশন, আত্মহত্যার হুমকি!

বরিশাল: স্ত্রী-স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে সাতদিন ধরে অনশন করছেন বীথি আক্তার নামে এক তরুণী। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যারও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

 

বরিশালের আগৈলঝাড়ার এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় প্রেমিকার পরিবার। তবে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেই আত্মগোপন করেছেন মেহেদী হাসান নামে কথিত প্রেমিক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের বাসিন্দা বীথি আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলে আসছিল একই এলাকার মো. শহিদুল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসানের। একবছর আগে গৌরনদী উপজেলার কসবা এলাকার একটি মসজিদে গিয়ে প্রেমিকা বীথি আক্তারকে নাক-ফুল ও আংটি পরিয়ে স্ত্রী করে নেন প্রেমিক মেহেদী হাসান।

গোপনে বিয়ে করলেও বিথীকে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে টালবাহনা শুরু করেন মেহেদী। এরপর বিথী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গত ১৫ মার্চ সকাল থেকে প্রেমিক মেহেদী হাসানের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত ভুক্তভোগী বিথী আক্তার ওই বাড়িতেই অনশনে আছেন। তবে প্রেমিক মেহেদী হাসান তার প্রয়োজনীয় পোশাকাদি নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।

এদিকে, বিথী আক্তারকে ওই বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে মেহেদীর পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশে বসলেও কোনো সমাধান হয়নি।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বিথী আক্তার জানান, মেহেদীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্কের কথা সবাই জানে। তার সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে না হলে আমি আমার মুখ কাউকে দেখাতে পারব না। আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না।  

তবে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে মেহেদীর পিতা শহিদুল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দুপক্ষ মিলে সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য বসা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
এমএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।