সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি, তালা ও শ্যামনগরে সুপেয় খাবার পানির প্রচণ্ড সংকট বিরাজ করছে। এসব এলাকার মিষ্টি পানির পুকুরগুলো লবণাক্ত হয়ে গেছে।
খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে যেমন অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়, তেমনি সুপেয় পানির অভাবে লবণাক্ত ও দূষিত পানি পানের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, পেটের পীড়া, শিশুমৃত্যু, অকালগর্ভপাতসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে মানুষ। এজন্য চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পানীয় জল কিনতে গিয়ে পরিবারগুলোকে বহন করতে হচ্ছে অতিরিক্ত খরচের বোঝা।
বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বুধবার (২২ মার্চ) সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত পানি শুনানিতে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।
পানি অধিকার প্রচারাভিযান ওয়াটারম্যুভ ক্যাম্পেইনের আওতায় স্বদেশ-সাতক্ষীরা, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-প্রান এবং একশন এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে এই পানি শুনানির আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. হরুন অর রশিদ, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল হামিদ ও সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মফিজুর রহমান।
স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ আজাহার হোসেন।
শুনানিতে সুপেয় পানি নিয়ে বিদ্যমান সংকট তুলে ধরেন শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের জেলে গোবিন্দ মুন্ডা, তালা উপজেলার রোজিনা আক্তার ঝুমা, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের দিনমজুর সুকুমার দাস, শ্যামনগর উজেলার দাতিনাখালি গ্রামের সমাজকর্মী শেফালী বেগম ও আশাশুনি উপজেলার কলেজ শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান, উন্নয়নকর্মী লুইস রানা গাইন, শ্যামল কুমার বিশ্বাস মহুয়া মঞ্জুরী, সাংবাদিক আহসান রাজিব, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সরদার, দলিত নেতা গৌরপদ দত্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুপেয় পানির সঙ্গে সব মৌলিক অধিকার ওতপ্রোভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানির অনিশ্চয়তা মৌলিক অধিকারকে ব্যাহত করছে।
বক্তারা সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণে ‘রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ’ এর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
আরএ