ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত

ঢাকা: সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় গণহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন সৌদি আরবের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

শনিবার (২৫ মার্চ) আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবুল হাসান মৃধা বলেন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের মানুষের নায্য অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চলমান আন্দোলন প্রতিহত করতে ইয়াহিয়া-ভুট্টোর নীল নকশায় ২৫ মার্চ কালোরাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নির্মমভাবে হত্যা করে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে। এদিন মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয়।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় জাতীয় সংসদে এবং ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে নিহত ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদের প্রতীক।

আবুল হাসান মৃধা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণহত্যার বিচার হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি।

অনুষ্ঠানে গণহত্যার বিচার দাবি জানান উপস্থিত প্রবাসীরা।  

এতে আরও বক্তব্য দেন রিয়াদস্থ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। এতে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।