সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার তালায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী মোস্তফা বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ মার্চ) সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মোস্তফা বিশ্বাস আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা বিশ্বাসের তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের আমজেদ বিশ্বাসের ছেলে। এছাড়া শিউলী খাতুন একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের মেয়ে।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, বিয়ের সময় জামাই মোস্তফাকে সাধ্যমতো যৌতুক দেন আব্দুস সবুর। কিন্তু এতেও খুশি না হয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি সোনা দাবি করে স্ত্রী শিউলীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মোস্তফা। বেশ কিছুদিন স্ত্রী বাবার বাড়ি থাকায় যৌতুকের টাকাসহ তাকে আনতে শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুরে যান তিনি। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট রাতে কথাকাটির একপর্যায়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে হত্যা করে মোস্তফা। এ ঘটনার পরের দিন মোস্তফা ও তার বাবা আমজাদ বিশ্বাসকে আসামি করে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শিউলীর বাবা আব্দুস সবুর।
এ মামলায় একই বছর ৪ সেপ্টেম্বর তালা থানার তৎকালীন এসআই লুৎফর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১০ জনের সাক্ষ্য ও পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিচারক এমজি আযম আসামি মোস্তফা বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মোস্তফা বিশ্বাসের বাবা আমজাদ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
জেএইচ