ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতজুড়ে সুনসান নীরবতা, পর্যটক নেই 

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
কক্সবাজার সৈকতজুড়ে সুনসান নীরবতা, পর্যটক নেই 

কক্সবাজার: করোনা মহামারির সময়ে সৈকতজুড়ে ছিলো নজিরবিহীন নির্জনতা। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটক না আসায় অনেকটা সেরকমই দেখা গেল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য।

পর্যটক শূন্য সৈকতের চারদিকে সুনসান নীরবতা। সৈকতের চিরচেনা সেই দৃশ্য যেন পাল্টে গেল।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে সৈকতের ‘সুগন্ধা’, ‘লাবনী’, ‘সীগাল’, ‘কলাতলী’ পয়েন্টে দেখা গেল এ রকম নিরব নিস্তব্ধতা। পর্যটক না থাকায় সৈকতের শামুক-ঝিনুকসহ সব দোকানপাটও বন্ধ।

সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত বীচকর্মী মো. বেলাল জানালেন, রমজান শুরুর পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আসছে না। অল্পকিছু পর্যটক দেখা যায় যা সংখ্যায় খুবই কম।

তবে সৈকতের এমন নিরবতাকে ভালোভাবে উপভোগ করছেন কিছু পর্যটক। ঢাকার সাভার থেকে ভ্রমনে আসা স্কুল শিক্ষক মো. মতলব মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, চারদিকে ফাঁকা, নিরবতা মানুষের ভিড় নেই। আমরা এমন সৈকত দেখতেই মূলত রমজানে এখানে এসেছি। একদম নিজেদের মতো করে সৈকতকে উপভোগ করছি।

তবে রমজান মাস হওয়ায় বেশিরভাগ খাবারের দোকান বন্ধ। তাই খাবার নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাকি সব ঠিকঠাক রয়েছে। হোটেল ভাড়াও কম। জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের অভিজাত তারকা হোটেল কক্সটুডে, সি গাল, ওশান প্যারাডাইস, সায়মান বিচ রিসোর্ট, হোটেল লংবিচসহ বেশির ভাগ হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

হোটেল সি গালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইমরুল ইসলাম ছিদ্দিকী বলেন, রোজার মাসে অধিকাংশ কক্ষ খালি থাকে। হোটেলে মোট কক্ষ আছে ১৭৯টি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ কক্ষই এখন ফাঁকা। কক্ষভাড়ার ওপর সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

হোটেলমালিকেরা বলেন, প্রতিবছর রোজার সৈকতে পর্যটক না থাকায় কলাতলী সড়কের অনেক দোকানপাট বন্ধ থাকে। এ সময় শহরের অনেক হোটেল-রোস্তারাঁও অঘোষিতভাবে বন্ধ রাখা হয়।  

এ সময় কর্মচারীদের এক মাসের বেতন-বোনাস দিয়ে অনেকটা ছুটিতে পাঠানো হয়। কেউ কেউ হোটেল-রেস্তোরাঁতে সংস্কার ও রঙের কাজ চালান। রোজার শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের সময় হোটেল–রেস্তোরাঁগুলো পুনরায় খোলা হয়।

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ঝাউবন রেস্টুরেন্টের মালিক ও কক্সবাজার রেস্তোরা মালিক সমিতি সহসভাপতি মো. আলী বাংলানিজকে বলেন, রমজানে একমাস আমরা রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখি। রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও ঈদের বোনাস হিসাবে একমাসের বেতন দিয়ে দেওয়া হয়।

‘আশা করছি এবারের ঈদে কক্সবাজার পর্যটক সমাগম ভালো হবে’ বলেন মো. আলী।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে কোনো পর্যটক যেন কক্সবাজার এসে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
এসবি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।