বরগুনা: চিকিৎসকের অবহেলায় বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মাওলানা মো. শাহ আলম নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাসপাতালে হট্টগোল করেছেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে শাহাদাত হোসেন নামে অপর এক শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে সদর হাসপাতালে আশার পর এ ঘটনা ঘটে।
মাওলানা মো. শাহ আলম উত্তর লাকুরতলা সোনার বাংলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
শাহাদাত হোসেন বলেন, বরগুনা বালিকা বিদ্যালয়ে ট্রেনিংয়ে ছিলাম আমরা। দুপুরে তিনি হঠাৎ করে বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। তারপর চিকিৎসক ও নার্সদের অনেক ডাকাডাকি করেছি আমরা কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। চিকিৎসক আসতে আগেই মারা যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, রোগীর মৃত্যুর পর চিকিৎসক আসে এটা কোন জরুরি বিভাগের অবস্থা হতে পারে না। কথা বলতে গিয়ে আজ আমরা লাঞ্ছিতও হয়েছি। সাধারণ মানুষের তবে কি অবস্থা হয় এখানে?
শিক্ষকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ট্রেনিংয়ের শিক্ষক ও মাদ্রাসা সুপাররা সবাই হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং ওই সময়ে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক আব্দুল্লাহ কাফির দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে করে কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয় যোগাযোগ করা হলে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ কাফি বলেন, আমি বাইরে রিকশায় থাকা এক রোগী দেখতে ছিলাম। তাকে কর্তব্যরত ব্রাদার ও নার্সরা স্টাচারে তুলে নিয়ে আসতে কিছুটা দেরি করে। তাই চিকিৎসা দিতেও কিছুটা সময় দেরি হয়েছে। এখানে আমার কোনো ভুল ছিল না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হোসাইন মোবাইল ফোনে বলেন, এ বিষয় আমি পরে কথা বলব।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. ফজলুর হক বলেন, বিষয়টি আমাকে শিক্ষা অফিসার অবগত করেছেন। এছাড়া কেউ আমাকে বলেনি। এমনটি হয়ে থাকলে ভুল হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী সব সময়ই জরুরি বিভাগে ডাক্তার থাকার কথা।
তিনি আরও বলেন, যদিও জীবন মরণ আল্লাহর হাতে। তবুও চিকিৎসকদের তাদের দায়িত্ব কর্তব্য ঠিকমতো পালন করা উচিত। আর গাফিলতির কথা বললেও আমার তেমন কিছুই করার নেই। কারণ হাসপাতালটির সব দায় দায়িত্ব হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এসএম