বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অপরাধে মো. আজিজুল ইসলাম (২৭) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) রাতে বন্দর গেট থেকে তাকে আটক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সন্ধ্যায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের গণসংযোগ শাখার উপসচিব মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আটক প্রতারক মো: আজিজুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার খোকন ঢালির ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর জেলার মো. জসিম মিয়া (২১) বন্দরের সম্পত্তি শাখার ল্যান্ড সার্ভেয়ার মো: আবুল খায়েরকে বন্দরের সুপারভাইজার পদে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেখায় ও প্রতারণার কথা জানান। তাৎক্ষণিক বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহিনুর আলমকে জানান ল্যান্ড সার্ভেয়ার মো: আবুল খায়ের। পরবর্তীতে প্রতারণার শিকার মো. জসিম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মো: আজিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগপত্র দিয়েছেন। এজন্য জসিম মিয়া আজিজুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছেন। যোগদানের পরে বাকি সাড়ে সাত লাখ টাকা দেবে বলে চুক্তি হয়।
জসিমের বিশ্বাস অর্জনের জন্য কুড়িগ্রাম জেলার মো. ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তির নামে ইস্যু করা সুপারভাইজার পদের একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেখায় আজিজুল ইসলাম । সেই নিয়োগপত্রটি মূলত জসিম বন্দরের কাছে সরবরাহ করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো: শাহীনুর আলম বলেন, ‘ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিষয়টি জানার পরে মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। আমরা আজিজুল ইসলাম নামের এক প্রতারককে আটক করেছি। ভবিষ্যতে প্রতারণামূলক কার্যক্রম বন্ধের জন্য জনসাধারণকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, চাকরি পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। যেমন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন, নিয়োগ পরীক্ষা, ফলাফল এবং সর্বশেষ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগপত্র ইস্যু করা। অনেকেই আছেন কোনো ধরনের আবেদন ও পরীক্ষা ছাড়াই প্রতারকদের টাকা দিয়ে চাকরি পেতে চায়।
বেকার যুবকদের এই ধরনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
এসএএইচ