ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লঞ্চশ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো স্থগিতের দাবি মালিকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
লঞ্চশ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো স্থগিতের দাবি মালিকদের

ঢাকা: অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী নৌযান শ্রমিকদের মজুরি-ভাতা ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া সরকারি গেজেট স্থগিত এবং এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে লঞ্চমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সংগঠনের ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিসহ মোট চারটি দাবি উত্থাপনা করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বাদল।

তাদের অন্য তিনটি দাবি হলো- লঞ্চযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে জিপিও মোড় থেকে সদরঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশ হকার ও যানজটমুক্ত রাখতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, গুলিস্তান-সদরঘাট উড়াল সেতু নির্মাণ করে এর শাখা সদরঘাট থেকে বাবুবাজার দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু ও আরেকটি শাখা পোস্তগোলা শশ্মানঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ এবং লঞ্চের এসি কেবিনের ওপর সরকার আরোপিত ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার।

নৌশ্রমিকরা ৫ বছরে গেজেট বহির্ভূতভাবে জনপ্রতি মাসিক ২ হাজার ২০০ টাকা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার ২০১৬ সালে অভ্যন্তরীণ নৌযান শ্রমিকদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী মজুরি কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ৫ বছর না যেতেই শ্রমিকরা আন্দোলন ও লঞ্চ ধর্মঘট করে ২০২০ সালে মাসিক ১ হাজার টাকা খাদ্যভাতা এবং ২০২২ সালে ১,২০০ টাকা মহার্ঘভাতা আদায় করে নিয়েছেন।

বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্যসহ সরকারি ভ্যাট, ট্যাক্স, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন ধরনের ফিস এবং লঞ্চের আমদানি করা ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশের মূল্য অনেক বেড়েছে। ফলে লঞ্চ পরিচালন ব্যয়ও বহুগুণ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে নৌপথে যাত্রীসংখ্যা অনেক কমেছে। এছাড়া গর্বের পদ্মা সেতুসহ বহু নদীর ওপর শত শত সেতু নির্মাণ ও সড়কখাতে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে একদিকে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় যাত্রীরা সড়কমুখী হচ্ছেন, অন্যদিকে ঢাকা শহরের দুঃসহ যানজট, সড়কগুলোর দুই পাশে হাজার হাজার হকার ও বিভিন্ন নৌপথে তীব্র নাব্যতা সংকটের কারণে সাধারণ যাত্রীরা সদরঘাটমুখী হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে নৌযাত্রীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রীসংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় লঞ্চব্যবসায় চরম সংকট বিরাজ করছে। মালিকরা বেশ কয়েকটি লঞ্চ ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ৬০% বাড়তি মজুরি দেওয়া মালিকদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম খান, পরিচালক এ এফ এম রফিকউল্লাহ সেলিম, মো. আলী আজগর, মামুন অর রশীদ, এস এম আবদুল জাদ্দার, প্রিন্স আওলাদ হোসেন, এম হাফিজুর রহমান, সংগঠনের সচিব ছিদ্দীকুর রহমান পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
টিএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।