ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগাছানাশক দিয়ে ৪ বিঘা ধান ক্ষেত পোড়ানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
আগাছানাশক দিয়ে ৪ বিঘা ধান ক্ষেত পোড়ানোর অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে সাড়ে ৪ বিঘা জমির ধান বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার বিলভাতিয়া বুড়িডোবা মাঠে পূর্বশত্রুতার জেরে ঘাস মারা বিষ (আগাছানাশক) দিয়ে ধান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।  

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক উপজেলার নামোমুশরীভূজা গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুল আওয়াল।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে ভোলাহাট থানায় মামলা দায়ের করলে মো. আব্দুস সামাদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভোলাহাট থানা পুলিশ।

আব্দুল আওয়াল জানান, ভোলাহাট উপজেলার বিলভাতিয়া মৌজায় তার রোপণ করা সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। পানির তীব্র সংকটের মধ্যেই পরিচর্যা করে যখন গাছে ধান দেখা দেওয়া শুরু হয়েছে ঠিক এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই উপজেলার ইমামনগর গ্রামের মৃত. মন্তাজ আলীর ছেলে মো. আলাউদ্দি(৫০), মো. আব্দুস সামাদ(৪০), মো. আজাদ আলী(৪২), মো. ফারুক হোসেন(৩৮), মো. হুমায়ন কবির বকুল(৩৫), মো. আজিজুল হক(৩০), মো. শামসুল হক(২৯), মো. আব্দুল করিম(২৬)সহ কয়েকজন বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে সব ধান নষ্ট করে দিয়েছে।

এসব জমিতে বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ মণ করে মোট ১১২ মণ ধান উৎপাদিত হতো। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ধান ও খড় দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তার।

এদিকে ঘটনার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী সরজমিন পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

উপজেলার পাঁচটিকরি গ্রামের মৃত. আব্দুস সাত্তারের ছেলে কৃষক মো. মোসলেম উদ্দনি জানান, আমি ঘাস কাটার সময় মো. সামাদসহ তার ভাইদের ঘাস মারা বিষ (বিষাক্ত কীটনাশক) প্রয়োগ করতে দেখি।

ক্ষতিগ্রস্থ জমির নিকটবর্তী বিএমডিএর ২৬ নম্বর গভীর নলকূপ ড্রাইভার পাঁচটিকরি গ্রামের মৃত. আব্দুল মতিনের ছেলে মো. সানাউল জানান, রাস্তার পাশে আমার ডিপ। বিকেলে ডিপের পাশে বট গাছের নিচে বসে থাকার সময় সামাদসহ কয়েকজনকে ক্ষতিগ্রস্থ জমির দিকে যেতে দেখে সন্দেহ হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধান নষ্ট করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা নষ্ট করেছে ধান জানিনা। তবে মানুষের মুখে ধান নষ্টের বিষয়টি শুনেছি।

ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। মামলার আসামি মো. আব্দুস সামাদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।