বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঈদের মাঠে আতশবাজি (পটকা) ফাটানোকে কেন্দ্র করে কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি কাঠিপাড়া গ্রামের আহতরা হলেন- অহিদুল শেখ (৪০), আবুল হাসান (৩০), আলমগীর শেখ (৪৫), মকবুল শেখ (৫০), রবিউল ইসলাম (৫৫) ও কালু শেখ (৩৫)।
একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত আদিখালী গ্রামের আহতরা হলেন- খায়রুল ইসলাম (২৫), ইসমাইল হোসেন (১৯) জুয়েল শেখ, মোহম্মদ শেখ (২৮), শাহজাহান শেখ (৩০), রবিউল শেখ (৪০) ও স্বাধীন শেখ (১৬)।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দোকানপাট বসে। এ সময় কাঠিপাড়া গ্রামের অহিদুল শেখের চটপটির দোকানের মধ্যে আদিখালী গ্রামের কিশোর বয়সী স্বাধীন শেখ ও খাইরুল আতশবাজিতে আগুন ধরিয়ে ছুড়ে মারে। বাজির শব্দে ক্রেতারা ভয় পেয়ে যান। এ নিয়ে কাঠিপাড়ার লোকজন স্বাধীন শেখকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
কাঠিপাড়া গ্রামের চটপটি দোকানি অহিদুল শেখ জানান, আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখ দোকানের মধ্যে আতশবাজি ফাটালে এলাকার লোকজন তাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আদিখালীর লোকজন আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে।
আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখের চাচা রবিউল শেখ বলেন, কাঠিপাড়ার লোকজন আমার ভাইপো স্বাধীনকে মেরে বেঁধে রাখে। আমরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
চিতলমারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
আরএ