ঢাকা: রাজধানীতে ঘোরাঘুরির জন্য বেশকিছু বিনোদনকেন্দ্র থাকলেও নগরবাসী এবার বেছে নিয়েছেন মেট্রোরেলকে। রাস্তা ফাঁকা থাকায় ঈদের তৃতীয় দিনেও মেট্রোরেলে ঘুরতে এসেছেন অনেকেই।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) ঈদের তৃতীয় দিন সরজমিনে দেখাযায় সকাল ৮ টায় আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন খোলার পর যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও ১০ টার পর থেকে চাপ বাড়তে থাকে। তাদের মধ্যে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যাই ছিল বেশি। অধিকাংশই এবারই প্রথম মেট্রোরেল চড়েছেন, তাই উচ্ছ্বাসও ছিল অনেক। নিজেদের মধ্যে চলছিল মেট্রোরেল নিয়ে নানান আলাপ আলোচনা। এদিন মেট্রোরেলে চড়তে গাজীপুর, টঙ্গী, সাভারের মতো যায়গা থেকেও অনেকে এসেছেন।
টঙ্গী থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা গার্মেন্টকর্মী মো. আইনউদ্দিন মেট্রোরেল দেখে খুবই আনন্দিত। ঈদের ছুটি চলছে তাই এই সুযোগে পরিবার নিয়ে টঙ্গী থেকে মেট্রোরেল দেখতে এসেছেন। তিনি উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোতে করে আগারগাঁও এসেছেন। সেখানে তার সঙ্গে কথা হয়। মো. আইনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আজ প্রথম মেট্রোরেলে উঠছি। খুবই ভাল লাগছে।
রেমিট্যান্স যোদ্ধা গোপাল কর্মকার প্রবাসে থাকা অবস্থায় বহুবার মেট্রোরেলে চড়েছেন। দেশে মেট্রোরেল চালু হওয়ায়, প্রথম বারের মতো পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণ করতে এসেছেন। সঙ্গে ছিলেন ৭০ বছরের বাবা এবং ৬০ বছরের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী- কন্যা এবং ছোট ভাই। গোপাল কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে উত্তরায় বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাবার কথা ছিল। তাই চিন্তা করলাম এ ফাকে পরিবারের সবাইকে মেট্রোতে ঘুরিয়ে আনব। দেশের বাহিয়ে বহু মেট্রোতে চড়েছি। যদিও বাংলাদেশের মেট্রোতে আমার এই প্রথম।
ঈদে পরিবারকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে মোহাম্মদপুর থেকে আগারগাঁও মেট্রোস্টেশনে এসেছেন আব্দুল গফুর। নিজে এর আগে কয়েকবার মেট্রোরেলে চড়লেও পরিবার নিয়ে এই প্রথম মেট্রোতে চড়া। মেট্রোরেলে চড়তে পেরে ছোট ছেলে খুবই খুশি। আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে মেট্রোরেলে করে আগারগাঁও থেকে উত্তরা গিয়েছি। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে আবার আগারগাঁও এসেছি।
এদিন মেট্রোরেলের দুই প্রান্তের শেষ স্টেশনগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। তাই টিকেট বুথ ও কাউন্টারগুলোর সামনে লম্বা লাইন দেখাগেছে। এত মানুষের ভিড়ে আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত টিকেটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড