ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিহত ২ রিকশাচালকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন এসপি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
নিহত ২ রিকশাচালকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন এসপি

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে ঈদুল ফিতরের দিন ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে নিহত দুই রিকশাচালকের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। এ সময় তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে অসহায় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এসপি মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

এ সময় আর্থিক অনুদান গ্রহণ করেন নিহত অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলা খাতুন এবং রিকশাচালক সাদেক মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার।  

এর আগে গত (২২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন ভোরে ময়মনসিংহ নগরীর ডিএন চক্রবর্তী রোডে অটো রিকশাচালক হাবিবুর রহমান এবং গোহাইলকান্দি পশ্চিমপাড়া এলাকায় রিকশাচালক সাদেক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে তিন সদস্যের একটি ছিনতাইকারি দল। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়। এ সময় ছিনতাইকারিরা তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে যায়।

এ ঘটনায় ওইদিনই কোতয়ালি মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হলে এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারি দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী অনন্ত কুমার দে, কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মামুন এবং কাজী মো. মাহিন বাদশা নামের অপর এক যুবক।    

এদের মধ্যে অনন্তের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা চলমান আছে এবং অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডসহ মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসপি মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, লোমহর্ষক এ হত্যা মামলার তদন্তকালে দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে তাদের অসহায় পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থা এবং মানবেতর জীবন-যাপন পুলিশের চোখে পড়ে। যা আমাদের মানবিক হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে। আর এ কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় দুই পরিবারকে সামান্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে পুনাক ময়মনসিংহের পক্ষ থেকে এ দুই পরিবারের সদস্যদেরকে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য আরও সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান এসপি।

এ সময় রিকশাচালক নিহত সাদেক মিয়া দশ বছরের শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার লিজা পিতৃহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করলে এসপি বলেন, এই মামলা দুটির দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করে আসামিদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।

এ সময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহা. রায়হানুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.  শাহিনুল ইসলাম ফকির ও কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।