সাতক্ষীরা: আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরে মামলার বাদী মাওলনা গোলাম মোস্তফার দুই পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আসামিরা।
সোমবার (১ মে) রাতে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের বড় গাবুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাওয়ায় ছেলে মুহতাদি শাহরিয়ার (১৪) ও স্ত্রী মাজিদা খাতুনকেও মারধর করা হয়।
আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গোলাম মোস্তফাকে মঙ্গলবার খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফা গাবুরা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মোড়লের ছেলে ও গাবুরা নিজামিয়া মাদরাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
আহতের স্ত্রী মাজিদা খাতুন জানান, ঈদের দুই দিন আগে তাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় তার স্বামী বাদী হয়ে একই এলাকার সরোয়ার কাশেম আলী, কিবরিয়া, সরোয়ার, মিন্টু, আতিয়ার, মাকসু, আকবর কাগুচী, সবুজ ও শান্তসহ দশজনের নামে মামলা করেন।
পরে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও রোববার চার আসামি জামিন নেন আদালত থেকে। এসময় মিন্টু ও জাফর আলীসহ জামিন পাওয়া আসামিরা বার বার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেন। এতে রাজি না হওয়ায় সোমবার রাতে তারা হামলা চালায়।
মাজিদা খাতুন আরও বলেন, সোমবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্বামীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় হামলাকারীরা বাধা দেয়। এমনকি শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও পুনরায় হামলার হুমকি পেয়ে তারা নিরাপত্তার স্বার্থে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গোলাম মোস্তফাকে ভর্তি করিয়েছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত কাশেম আলী জানান, তারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। জামিন নেওয়ার পর তাদের লোকজন বাড়ির বাইরে যায়নি। কারা কিভাবে কেন গোলাম মোস্তফার দুই পা ভেঙে দিয়েছে বিষয়টি তাদের জানা নেই।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঈদের আগে দায়ের হওয়া মামলার বাদীর ওপর হামলায় ঘটনা শুনেছেন। এ মামলার দুই আসামি কারাগারে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
আরএ