ঢাকা: রাজধানীর ভাটারায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় রোকসানা বেগম (৩০) নামে এক নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামী ফয়সাল মিয়ার দাবি, কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন রোকসানা।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল দশটার দিকে রোকসানাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত গৃহবধূর বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড় সাপমারা গ্রামে। সেখানের আতাউর রহমানের মেয়ে তিনি। অন্যদিকে তার স্বামী ফয়সালের বাড়ি একই উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে। ফয়সালের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্বামীর ঘরে দুই মেয়ে রয়েছে রোকসানার।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মরদেহ ময়নতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তার স্বামী ফয়সাল পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তিনি দাবি করছেন, কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন রোকসানা। তবে বিষয়টি তদন্তের জন্য ভাটারা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ঘটনার প্রসঙ্গে ফয়সাল বলেন, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে ঢুকে হাতমুখ ধোয় রোকসানা। এর কিছুক্ষণ পর বমি করতে থাকে সে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, কীটনাশক পান করেছে। তখন তার মাথায় পানি ঢালি, অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্ত্রী কেন কীটনাশক পান করলেন প্রশ্নে হাসপাতালে ফয়সাল মিয়া জানান, দুই বছর আগে ফেসবুকে রোকসানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরে নিয়মিত যোগাযোগ ও কথাবার্তা হতো। সবশেষ ৫ দিন আগে রোকসানা গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাটারা নতুন বাজার খন্দকার মোড় এলাকায় ফয়সালের বাসায় উঠেন। পরদিন রোকসানা তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেন। পরদিন (৩ মে) গুলশানে একটি কাজী অফিসে ফয়সালকে বিয়ে করেন তিনি।
ফয়সাল বলেন, রোকসানাকে বিয়ের বিষয়টি আমার মা-বাবা কিছুতেই মেনে নিচ্ছিলেন না। তারা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটি দেখে রোকসানাও মর্মাহত হন। তার জন্যই পরিবারে এই অশান্তি বলে নিজেকে দোষারোপ করছিলেন রোকসানা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ