ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সবুজায়ন বাদ দিয়ে উন্নয়নের পরিণাম হবে ভয়াবহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
সবুজায়ন বাদ দিয়ে উন্নয়নের পরিণাম হবে ভয়াবহ

ঢাকা: সবুজায়নকে বাদ দিয়ে প্রকল্প নির্ভর উন্নয়নের পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ। শব্দ ও বায়ুদূষণ এবং ক্রমবর্ধমান অসহনীয় তাপমাত্রার পেছনে রাজধানীর পরিবেশ বিপর্যয় প্রমাণ স্বরূপ।

সবুজায়নকে অস্বীকার করে সামগ্রীক উন্নয়ন সম্ভব নয়।  

শনিবার (৬ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডের সড়ক বিভাজনের গাছ কাটার প্রতিবাদে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

এ অবস্থায়, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে রাজধানীর গাছ রক্ষার মাধ্যমে বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশ আন্দোলন কর্মী ও রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও গ্রিন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাপার নগরায়ণ বিষয়ক সদস্য সচিব আদিল মোহাম্মদ, পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ, মানবাধিকার শিরিন হক, সাংবাদিক আমিন আল রাশীদসহ ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, উন্নয়নের নামে সড়কের গাছ কাটা গর্হিত কাজ। সবুজায়নকে বাদ দিয়ে গড়ে উঠা সভ্যতায় প্রকৃতির প্রভাব হয় বিরূপ। রাজধানী ঢাকার ক্রমবর্ধমান বৈরী পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে গাছ রক্ষার বিকল্প নেই।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, নগরের অস্তিত্বের সঙ্গে গাছ ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। নগরীর সবুজ এলাকার তাপমাত্রা ও বাণিজ্যিক এলাকার তাপমাত্রার পার্থক্য আমরা বিভিন্ন গবেষণায় জেনেছি। ফলে প্রকল্প নির্ভর উন্নয়নের নামে সবুজ উজাড়ের ফলাফল হবে ভয়াবহ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নগরবাসীর প্রয়োজনেই গাছ রক্ষা করতে হবে। সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নগরীয় গাছ রক্ষা ও সবুজায়ন নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাজি ও উন্নয়নের নামে গাছ কাটা যাবে না।

চলতি বছর জানুয়ারিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে সড়কদ্বীপ উন্নয়নের সময় বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার পরে ৩১ জানুয়ারি এর প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে শিশু শিক্ষার্থী, পরিবেশবাদী, সমাজকর্মী, গবেষক, শিক্ষক, শিল্পীরা। এরপরে রাস্তার ডিভাইডারের গাছ কাটা বন্ধ রাখে দক্ষিণ সিটি। সর্বশেষ ১ মে রাতের আধারে পুনরায় রাস্তাটির ডিভাইডারের গাছ কাটা শুরু করে দক্ষিণ সিটি এমনটাই জানান ধানমণ্ডি সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব।  

এ সময় সমাবেশ শেষে তারা রাস্তার ডিভাইডারে পাঁচটি গাছের চারা রোপন করেন। পাশাপাশি রোববার বিকেল ৫টায় ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের আবহানি মাঠের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় গাছ রক্ষা আন্দোলন কমিটির পক্ষথেকে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
ইএসএস/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।