ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেউ গাছ কাটলে তার হাত কেটে দেব: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
কেউ গাছ কাটলে তার হাত কেটে দেব: মেয়র আতিক ছবি: রাজিন চৌধুরী

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যদি কেউ গাছ কাটে, আমি তার হাত কেটে দেব।

সোমবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির মাঠে আয়োজিত ডিএনসিসি মেয়রস কাপ টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর ভলিবল বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

রাজধানীর উষ্ণ পরিবেশে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ডিএনসিসির পাড়া-মহল্লায় দুই লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র আতিক।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে কী হিটের (গরম/তাপদাহ) মধ্যে আছি। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় আমরা দুই লাখ গাছ লাগাব। এর জন্য নগরবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতা চাই।  আর নগরের যে খালগুলো দখল হয়ে গেছে, সেগুলোকে উদ্ধার করে পানি প্রবাহ করার চেষ্টা করছি। গাছ ও পানির প্রবাহ-  তবেই ন্যাচার বেজ সলিউশনে আমরা নগরকে ঠাণ্ডা রাখতে পারি।  

তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ সিটিকে আমরা কীভাবে আরও বেশি ডিজিটালাইজড করতে পারি, ট্যাক্স অনলাইনে, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে, রিকশার লাইসেন্স অনলাইনে- এগুলোকে আমরা বেশি ফোকাস করছি, যাতে জনগণের ভোগান্তি কমে যায়।  এর জন্য যা যা করা দরকার, সবই করা হবে।  

উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির মাঠ ও সড়কের চারপাশে দেখিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই গাছগুলো কিন্তু কাটার প্রক্রিয়ায় ছিল। কিন্তু আমি রাস্তা বড় করেছি, গাছ কাটিনি। গাছ না কেটে গাছের মাঝের জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাই পরিবেশ বাঁচাতে হলে গাছ লাগাতে হবে। আর যদি কেউ গাছ কাটে, তবে আমি তার হাত কেটে দেব- এটা আমার মেসেজ।  

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য গর্ব। এশিয়ার মধ্যে বুশরা আফরিনকে প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের সিটি করপোরেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। চিফ হিট অফিসার নামে কোনো পোস্টও নেই। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, সিটি করপোরেশন তার কোনো বেতন ভাতা বা গাড়ির সুবিধা দেবে না। তার জন্য সিটি করপোরেশনে কোনো অফিস বা চেয়ারও নেই। তার যা যা দরকার সব দেবে অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার।  

তিনি বলেন, বুশরা আফরিন আমার মেয়ে। আমি তাকে বলেছি, বাবা তুমি শক্ত থাকো। কারণ আমি ও আমার মেয়ে জানি যে সিটি করপোরেশন থেকে সে কোনো সুবিধা নেয়নি। বুশরা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় অফিসার হয়েছে। সেই সঙ্গে সে ইসলাম গার্মেন্টস গ্রুপের ডিরেক্টর। সে তার নিজের ব্যবসা, কাজ ফেলে রেখে চিফ হিট অফিসার হিসেবে কাজ করবে।

মেয়র বলেন, বুশরা এখানে কার ছেলে বা কার মেয়ে সেটি মুখ্য নয়। সমগ্র এশিয়ার মধ্যে চিফ হিট অফিসার হিসেবে একজন নারী নিয়োগ পেয়েছেন এটা কিন্তু একটি বড় মেসেজ। তাই আমাদের গর্ব করা প্রয়োজন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এসজেএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।