ফরিদপুর: হেফাজত ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোট ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আলহাজ মাওলানা জহুরুল হক ইন্তেকাল করেছেন।
বুধবার ( ১০ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে নিজ মাদরাসায় মারা গেছেন এই আলেম।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন হেফাজত ইসলামের এ সাবেক নেতা।
প্রখ্যাত এ আলেমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মো. নিজাম উদ্দীন।
তিনি বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ফরিদপুর ডায়বেটিকস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে এনে তাকে তার মাদারাসার কক্ষে রাখা হয়েছিল। সেখানেই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাদ জোহর ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পুরুরা মাদরাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
তিন ছেলে ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন মাওলানা জহুরুল হক।
অর্ধশতাব্দী কালের বেশি সময় ধরে ইসলাম প্রসারে জীবন উংসর্গ করে দিয়ে অবশেষে চিরবিদায় নিলেন দক্ষিণাঞ্চচলের এই বর্ষীয়ান আলেম।
মাওলানা জহুরুল হক একাধারে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পুরুরা আল জামিয়াতুল আরাবিয়া নিজামুল উলুম মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্বও পালন করেছেন।
জানা গেছে, প্রবীণ এই আলেম সামচুল হক ফরিদপুরীর খলিফা ছিলেন। তিনি ফরিদপুর জেলা হেফাজত ইসলাম ও জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় ১০ বছর। স্বাধীনতা ঘোষণা হওয়ার পর সালথার ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তার একান্ত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় পুরুরা আল জামিয়াতুল আরাবিয়া নিজামুল উলুম মাদরাসা। ওই মাদারাসায় মুহতামিম হিসেবে প্রায় ৭০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তার কাছে পড়াশোনা করে হাজারো ছাত্র আলেম হয়েছেন। যে কারণে তার মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি আলেম সমাজেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাওলানা জহুরুল হকের মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ও দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এবং নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসএএইচ