পাথরঘাটা (বরগুনা): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উপকূলের সঙ্গে এর দূরত্ব কমছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায়।
এদিকে সুন্দরবন কোলঘেঁষা বলেশ্বর নদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে নদীতে চলছে ভাটা, কিন্তু পানির যে চাপ তাতে মনে হয় নদীতে জোয়ার বইছে। এই পানির চাপেই সিডরে বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল। এখন পানির যেভাবে চাপ দেখা যায় তাতে আমরা আতঙ্কিত।
গহরপুর গ্রামের মিন্টু খান বলেন, সিডরের সময় আঘাত হানার তিনদিন আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, কিন্তু মোখায় দেখছি ভিন্ন। আবহাওয়ার তথ্যানুযায়ী আঘাতহানার আগ থেকেই প্রচণ্ড গরম আকাশ মেঘলা, বাতাস নেই। এখানেই ভয় আমাদের।
পাথরঘাটা উপজেলা পিআইও মোকছেদুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমদের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। আগে থেকেই উপকূলে প্রচার চালানো হয়েছে, এখনো অব্যহত আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রসহ উপকূলে সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে এসব বিদ্যালয়ে অফিস রুমও খুলে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমএমজেড