ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাথরঘাটায় চার স্থানে ৫৮৫ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে 

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
পাথরঘাটায় চার স্থানে ৫৮৫ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে 

পাথরঘাটা (বরগুনা): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি শক্তি সঞ্চার করে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এতে আতঙ্কিত রয়েছে উপকূলীয় বরগুনার কয়েক লাখ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ১০ মহা বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।

বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত জেলে সম্প্রদায়কে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করে সতর্কবার্তা জানাচ্ছেন। তবে এখনো বেশ কিছু জেলে সাগর ও নদীতে মাছ মাছ ধরছে।

এদিকে ভাটার সময় পানির চাপ জোয়ারের মতো হওয়ায় বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষখালী ও বলেশ্বর নদ সংলগ্ন বাধবাসীদের মাধ্যে আতঙ্গ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি কাউকে।

চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের আবদুল হামিদ বলেন, আমরা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় থাকি। কোন সময় কি হয় বলা যায় না। পানির চাপ থাকলে বাঁধের ভেতরে পানিতে ঢুকে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বরগুনা সদর উপজেলায় ১০টি স্থানে এক হাজার ২৫ মিটার, পাথরঘাটায় চারটি স্থানে ৫৮৫ মিটার, বামনায় চারটি স্থানে ৩৪০ মিটার, তালতলী উপজেলায় দুইটি স্থানে ৩১০ মিটার, বেতাগী উপজেলায় দুইটি স্থানে ১৯০ মিটার এবং আমতলী উপজেলায় দুইটি স্থানে ১২০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া জেলায় ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের দ্রুত চিকিৎসা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ২৯৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং ১৪২ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় বাবদ ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা, ২ হাজার কম্বল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘বরগুনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৪টি জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করেছি। আমাদের বিপুল পরিমাণ জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ছয় উপজেলায় আমাদের ছয়টি টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন এরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।