ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ও জলাবদ্ধতা নিরসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে: মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ও জলাবদ্ধতা নিরসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে: মেয়র

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র তার দায়িত্বগ্রহণের তিন বছরে ডিএনসিসির অগ্রগতির সার্বিক চিত্র ও আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট ঢাকা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হবে স্মার্ট সিটি।

তিনি বলেন, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিন বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। নগরের সেবক হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণের জন্য কাজ করতে। তিন বছর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি, আবার কিছু কাজ করা সম্ভব হয়নি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অনেকটা বাধাগ্রস্ত হয়েছি। তবে ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।

মেয়র আতিকুল বলেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসিতে অনলাইনে সেবা দেওয়ার পরিধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার পাইলটিং সম্পন্ন করেছি। আগামী জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের সহায়তায় আমরা কাজ করছি। নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। এ তিন বছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যত ধরনের সফলতা আছে তার সব কৃতিত্ব জনগণের। আর সেই সঙ্গে যত ব্যর্থতা আছে তা আমার নিজের কাঁধে নিলাম।

এ সময় মেয়র কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনায় কি কি থাকছে তা তুলে ধরেন।

রাস্তার সিগন্যালগুলোকে অটো করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল বলেন, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখন আর সিগন্যাল হাতে চলে না। শুধুমাত্র আমাদের দেশের সিগন্যাল হাতে চলে। ট্রাফিক সিগন্যাল ইস্যু নিয়ে চলতি মাসে মিটিংয়ে বসবো। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে টেকনিক্যাল সমাধান নিয়ে কাজ করব। আমরাও খুব শিগগিরই ট্রাফিক সিগন্যালকে ডিজিটালে নিয়ে আসব।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে একটি সফটওয়্যার নিয়ে এসেছি। লেন ভিত্তিক কাজ পরিচালনার জন্য। এ সফটওয়্যার কাজ করবে। যদি কেউ লেন অমান্য করে অথবা অতিরিক্ত গতিতে যদি গাড়ি চালায় তাহলে তার গাড়ির নম্বর পর্যালোচনা করে তার বাড়ির ঠিকানায় জরিমানার স্লিপ চলে যাবে। উন্নত দেশের মতো এমন সিস্টেম উত্তর সিটিতে দ্রুতই চালু হবে।

মিরপুর ১০ নম্বর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির তথ্য পেলে সে যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। আমি ইতোমধ্যে ডিএমপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারো নামে যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাই সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আতিকুল ইসলাম। নির্বাচিত হয়ে তিনি ডিএনসিসির মেয়র হনি। পরে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আতিকুল ইসলাম। পরে একই বছরের ১৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, কাউন্সিলররা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।