ঢাকা: পিরোজপুরের ইন্দুরকানির রেনুকা হত্যাকাণ্ডের হোতা মিলন ও তার সহযোগী মামুনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৭ মে) র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীন চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক দুজন হলেন- রেনুকার স্বামী মো. মিলন ফকির (৩৫) ও মিলনের সহযোগী তার আপন ছোট ভাই মো. মামুন ফকির (২২)।
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানাধীন কঁচা নদীর পশ্চিম পাড় থেকে পুলিশ বস্তাবন্দী অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ইন্দুরকানি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অনুসন্ধানে জানতে পারে যে, ওই নারীর নাম রেনুকা বেগম (৪০)। তিনি পিরোজপুর থানাধীন শংকরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিলন ফকিরের স্ত্রী। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে এ ঘটনা জানতে পারে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৬ মে) এ হত্যা মামলার হোতা মিলন ও তার সহযোগী মামুনকে আটক করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ডিআইজি ফরিদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিলন পারিবারিক কলহের জেরে তার আপন ছোট ভাই মামুনের সহযোগিতায় স্ত্রী রেনুকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে রেনুকা গুম হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মরদেহ বস্তাবন্দী করে ইন্দুরকানি থানাধীন পাড়েরহাট এলাকা সংলগ্ন কঁচা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। আটক দুজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এসজেএ/আরআইএস