ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’

ঢাকা: দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আট ক্যাটাগরিতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

চা শিল্পের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদানের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন, ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।

তিনি বলেন, দেশের চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠন তাদের স্ব স্ব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। এসব প্রতিষ্ঠান/সংগঠন ও ব্যক্তির অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। গুণগতমানের চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা বাগান মালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে এ বছর জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিজয়ীদের হাতে বাণিজ্যমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেবেন।

যে আট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে:
১. একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, ২. সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, ৩. শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক, ৪. শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, ৫. শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, ৬. বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, ৭. দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, ৮. শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী ব্যক্তি/শ্রমিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।