ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১০ বছর পর গ্রেপ্তার সীমা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
১০ বছর পর গ্রেপ্তার সীমা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রাশেদ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রাশেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।  

ঘটনার ১০ বছর পর শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি সেখানে নাম-পরিচয় পাল্টে আত্মগোপনে ছিলেন।   

রোববার (২৮ মে) রাতে র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. মাহমুদুল হাসান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন তালিবপুর এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। ভিকটিম সীমা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

র‍্যাব জানায়, হত্যার পর পরই আসামি গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিদেশসহ শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা এলাকায় গিয়ে গাঁ ঢাকা দেন। সেখানে তিনি মাসুদ আলম পরিচয়ে বসবাস করছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. রাশেদকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

ঘটনা সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্ণ লাল দেবনাথের বাড়িতে একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।

পরে ঘরের একটি কক্ষে স্কুলছাত্রী সীমাকে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সীমাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন সীমার দাদা কৃষ্ণলাল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৫ মে মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

হত্যা মামলার রায়ে ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

পরে বিচারিক আদালতে দেওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি দুজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আসামি হিরণ, নুর নবী, নুর আলম, হেদায়েত উল্যা হেদু, সাদ্দাম, সুমন, রাশেদ ও মানিক।

অপর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন আনোয়ার ও সোহেলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাশেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।  

** লক্ষ্মীপুরে সীমা ধর্ষণ-খুনে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।