ঢাকা: সরকারি চাকরিতে শিক্ষিত বেকারদের যখন যুদ্ধ, তখন শূন্যপদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি। প্রশাসনে মোট অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৫১টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে ২০২২ সালের ‘স্ট্যাটিসটিকস অব গভর্নমেন্ট সার্ভেন্টস’ বই থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২১ সালের পরিসংখ্যান নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এর আগের বছর ফাঁকা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যায়ে ২১ হাজার ৭০৯টি পদের মধ্যে শূন্য ৬ হাজার ৮২১টি, সংস্থা ও অধিদপ্তর পর্যায়ে ১৪ লাখ ২২ হাজার ৮২৮টি পদের মধ্যে শূন্য ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৬টি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক অফিসে ৪০ হাজার ২৭৩টি পদের মধ্যে শূন্য ১৩ হাজার ৩৫৭টি। বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং করপোরেশনে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৯টি পদ ফাঁকা রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট পদের সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৪১টি।
সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ ফাঁকা ছিল।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। শূন্য পদ ৬৪ হাজার ৫৮২টি।
১০ম থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ২ লাখ ৯১ হাজার ১১১টি পদের বিপরীতে আছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন। শূন্য পদ ৯৭ হাজার ৪৪৭টি পদ।
১৩ম থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪০টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন। শূন্য রয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৭টি পদ।
১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৯টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬৫টি পদ।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১১ হাজার ৪৩৫টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৫ হাজার ১০৩ জন। শূন্য রয়েছে ৬ হাজার ৩৩২টি পদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এমআইএইচ/জেএইচ
