শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট, কেনাফের বীজ ও আঁশ উৎপাদন প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০২ জুন) বিকেলে বিজেআরআই কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের আয়োজনে রামচন্দ্রকুড়া ও মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোকছেদুর রহমান লেবু।
এ সময় কৃষিবিদ ড. আব্দুল আওয়াল বলেন, কৃষক ভাইয়েরা হলেন কৃষির প্রাণ, তারাই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী। জমিতে ধানের পাশাপাশি পাট চাষ করতে পারলে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং মাটির স্বাস্থেরও উন্নতি হবে।
তিনি আরও বলেন, একসময় এ অঞ্চলে উন্নতমানের পাট উৎপাদন হতো। পাটের প্রতিশব্দ নলিতা বা নাইল্যা। নাইল্যা থেকেই এ উপজেলার নামকরণ হয়েছে নালিতাবাড়ী। তাই আপনাদের আবারও বেশি বেশি পাট চাষ করে এ অঞ্চলের পাটের সুনাম ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়া পাটের গুরুত্ব, চাষাবাদের নিয়ম, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন, পাট কর্তনের সময়, পাট আঁশ জাগ দেওয়া ও শুকানোর বিষয়েও বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ড. আব্দুল আওয়াল।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, বিজেআরআই এর তত্ত্বাবধানে বর্তমানে পাট চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিজেআরআই এর পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে পাট চাষ করলে প্রত্যেক কৃষক লাভবান হবে।
প্রশিক্ষণ শেষে উপস্থিত ৫০ জন কৃষকের মধ্যে দেশি, তোষা ও কেনাফ জাতের মোট ৭৫ কেজি বীজ বিতরণ করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআই কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মওদুদ হোসেন, সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মকিম উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ রঞ্জন চন্দ্র দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুল আহসান, সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের সাবেক জিএস আসাদুজ্জামান সোহেল, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত জাহান নবাব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৩
এফআর