ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও বাঁচতে পারলেন না সাংবাদিক নাদিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও বাঁচতে পারলেন না সাংবাদিক নাদিম

জামালপুর থেকে: ‘একজন সংবাদকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের কাছে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।

আমি যেন সুস্থভাবে সাংবাদিকতা করতে পারি, এটার নিশ্চয়তা চাই। ’

এ কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিজ আইডিতে লাইভে এসে বলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম।  

স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্যায়, অপরাধ নিয়ে বাংলানিউজে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি। তারপর থেকে অনবরত হুমকি, মামলা ও হামলা হয়ে অবশেষে মৃত্যু হয় তার।

মৃত্যুর পর ফেসবুকে তার সেই ১৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সাহসী সংবাদকর্মী হিসেবে তিনি জায়গা পেয়েছেন নেটিজেনদের মনে।

জানা গেছে, যখন এ ভিডিও নাদিম করেন তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের নিউজ করার পর তার ওপর অনেক রকম হুমকি আসে। পরে লাইভে গিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চান তিনি।  আওয়ামী লীগের জামালপুরের জেলা নেতাদের নিয়ে সমাধান করে দেওয়া হলেও সেই দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকবার নিউজ করার পর তার ওপর হুমকি আসার পর বুধবার (১৪ জুন) তাকে হামলা করে মেরে ফেলা হয়।  

বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
এসএফ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।