ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক নাদিমের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ভাঙ্গায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
সাংবাদিক নাদিমের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ভাঙ্গায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ

ফরিদপুর: সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।  

শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ আয়োজন করেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাব।

 

মানববন্ধন ও বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ শামীম ও সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ।  

সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সব সাংবাদিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ শামীম, সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম আসাদুজ্জামান মুন্সী, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান মুন্সী প্রমুখ।  

নাদিম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান সাংবাদিকরা। এছাড়া মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলম মুন্সী, মাহমুদুল হক বাহার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, মাস্টার আখতারুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া খান, দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান, সাংবাদিক মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, জামাল উদ্দিন, রনি মিয়া, তরিকুল ইসলাম, শাহিন ইসলাম, হুমায়ুন কবির, সাগর মুন্সি প্রমুখ।  

প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক নাদিম গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০-১২ জন  দুর্বৃত্তরা  নাদিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  

নিহত সাংবাদিক নাদিম জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া গোমেরচর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।

বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর অপকর্ম নিয়ে নিউজ করার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছেন নাদিমের স্বজনরা।

নাদিম হত্যাকাণ্ডে ‘প্ল্যানমেকার’ চেয়ারম্যান বাবুসহ এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন
নাদিম হত্যাকাণ্ড

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
এসএএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।