ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক নাদিমের বাড়িতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
সাংবাদিক নাদিমের বাড়িতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

জামালপুর: জেলার বকশীগঞ্জে হত্যার শিকার হওয়া সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে সাংবাদিক নাদিমের গ্রামের বাড়ি যান তিনি।

সেখানে নাদিমের বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। পরে নাদিমের কবরের পাশে গিয়ে কিছু সময় নীরবতা পালন করেন। এ সময় তার সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নাদিম হত্যা মামলার আসামিদের ধরা হয়েছে। বিচারিক কার্যক্রম চলমান। আসামিদের ধরার ক্ষেত্রে সফলতার পরিমাণ অনেক বেশি। সেই সিসিটিভির ফুটেজ থেকে অনেক কিছুই সুস্পষ্ট। পরবর্তী বক্তব্যগুলো সুস্পষ্ট ও ইতিবাচক। সেই ইতিবাচকতার ধারাবাহিকতায় আমি বিশ্বাস করি যে, এখানে বিলম্ব হওয়ার মতো বা অস্বস্তিতে থাকার মতো কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে স্পষ্ট কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, অবশ্যই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। এই বিচারের জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রথম থেকেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার ছিলাম এবং বিচারের শেষ ধাপ পর্যন্ত সোচ্চার থাকব।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন (বুধবার) রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামালপুরের বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন নাদিম। স্থানীয় সাংবাদিক এবং পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা বেগম।

শনিবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে এবং ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

এ সময় ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাবু চেয়ারম্যান। পরে শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পরদিন তাকে আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।  বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে আছেন।

নাদিম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও পড়তে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এনবি/এসএফ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।