ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘জায়েদ খানের’ দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ, ‘পাঠান’ ১০ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
‘জায়েদ খানের’ দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ, ‘পাঠান’ ১০ লাখ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা গোদনাইল এলাকার আরকে এগ্রো ফার্ম উন্নতমানের কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ফার্মটির বড় দুটি গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘পাঠান’ ও ‘জায়েদ খান’।

গরু দুটি দেখতে ফার্মটিতে প্রতিদিন কয়েকশ’ ক্রেতা-দর্শনার্থী ভিড় করছেন। অনেকে ছবি, ভিডিও ধারণ করছেন।

আড়াই বছর বয়সী দেশি জাতের ২০ মণ ওজনের ‘পাঠানের’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। লাল-হালকা কালো রঙের গরুটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতায় ৫ ফুট। আর ১৮ মণের ‘জায়েদ খানের’ দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। লাল-কালো রঙের গরুটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট। প্রতিদিন গরু দুটির খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুষি, সবুজ ঘাস এবং খড়।

গরু দুটির এমন নামকরণের বিষয়ে আরকে এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. আব্দুস সামাদ বলেন, পাঠান ছবি মুক্তি পাওয়ার পর আমরা আদর করে গরুটির নাম রেখেছি ‘পাঠান’। গরুটির গঠন অনেকটা পাঠানের মতো। এছাড়া পাঠান বলে ডাক দিলে এটা সাড়া দেয়।

অন্যটির নাম ‘জায়েদ খান’ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, যখন পাঠান ছবি মুক্তি পায়, তখন জায়েদ খান বলেছিলেন, পাঠান ছবি বাংলাদেশে আমদানি না করে আমাকে দিয়েই এমন ছবি বানানো হোক।  গরু দুটি কাছাকাছি এলেই গুতাগুতি করতো।  তাই চিন্তা করলাম, এ গরুর নাম জায়েদ খানই রাখতে হবে। তাই ভালোবেসে ‘জায়েদ খান’ নামেই গরুটির নাম রেখেছি। এ নামেই ফার্মে ব্যাপক পরিচিত।

ফার্মটির অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. নাজির হোসেন জানান, তাদের ফার্মে ব্রাহমা, সিন্ধি, শাহীওয়াল, নেপালি বলদ, দেশাল, ফ্রিজিয়ান জাতের ১ হাজারের বেশি গরু আছে।  পাশাপাশি দুম্বা, ভেড়াও আছে। এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই গরু কিনে ফার্মে রেখে যাচ্ছেন। বিক্রি হওয়া গরুগুলো ক্রেতাদের ইচ্ছামতো সময়ে ডেলিভারি দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, কোরবানির পশু কিনতে ও দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী ফার্মটিতে ভিড় করছেন। তারা চেষ্টা করেন শতভাগ সুস্থ গরু ক্রেতাদের সরবরাহ করতে। এছাড়া অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ফার্ম থেকে গরু কিনছেন।  গতবারের তুলনায় এবার ক্রেতাদের বেশি সাড়া পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে এবার কোরবানির টার্গেট এক লাখ। চাহিদার তুলনায় বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিশেষায়িত খামার ছাড়াও সাধারণ খামার ও কৃষকরা বাড়িতে গবাদিপশু পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করছে। তবে বর্তমানে অধিকাংশ ক্রেতাদের এগ্রো ফার্মগুলো বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এখন অনেকেই এ ফার্মগুলো থেকে কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।