ঢাকা: যানজটের ভোগান্তিতে নাকাল নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে গত বছরের ডিসেম্বর চালু হয়েছিল দেশের প্রথম মেট্রোরেল। উদ্বোধনের পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত চলাচল করছে, যা মেট্রোরেলের প্রথম অংশ নামে পরিচিত।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এখনও চলাচল না করায় মেট্রোরেলের পুরোটা সুবিধা পায়নি নগরবাসী। দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ আগামী সেপ্টেম্বরে চালুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
চলতি জুলাই মাসেই আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের ‘টেস্ট রান’ শুরু হবে। টেস্ট রান সফল হলে এরপর হবে ‘ট্রায়াল রান’। তারপরই পুরোটা রুটে যাত্রী চলাচল করতে শুরু করবে সেপ্টেম্বরে।
শনিবার (১ জুলাই) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুল ইসলাম ভূইয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মেট্রোরেল সূত্র জানিয়েছে, এমআরটি-৬ লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশন ধাপে ধাপে যেভাবে চালু করা হয়েছিল, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ক্ষেত্রেও।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেলের স্টেশন ৭টি—বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, সচিবালয় ও মতিঝিল।
এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালু হতে পারে তিনটি স্টেশন—ফার্মগেট, শাহবাগ ও মতিঝিল। এসব স্টেশনের কাজ গড়ে ৯৭ ভাগ শেষ হয়েছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছিলেন, মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশে সব স্টেশন একেবারে চালু করা সম্ভব না হলে ধীরে ধীরে স্টেশনগুলো চালু করা হবে।
সময় বাড়ানোর দাবি যাত্রীদের
উদ্বোধনের সময় মেট্রোরেল চলতো দৈনিক ৪ ঘণ্টা, এরপর বাড়িয়ে করা হয় ৬ ঘণ্টা। আর বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে।
তবে অনেকের সকাল ৮টায় অফিস থাকার ফলে মেট্রোরেল ধরে অফিস করতে পারেন না। অনেকের আবার অফিসের ছুটি হয় রাত ৮টার পরে। এজন্য যাত্রীদের দাবি, সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিচালনা করার।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক আশা করছেন, পুরোদমে যাত্রা শুরু হলে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন।
অন্যদিকে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত তৃতীয় অংশ ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এনবি/এমজেএফ