ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘৪৮ ঘণ্টায় ১৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএসসিসি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
‘৪৮ ঘণ্টায় ১৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএসসিসি’ কথা বলছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিজানুর রহমান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ঈদের পর ৪৮ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৩৮টি ট্রিপের মাধ্যমে ১৭ হাজার ২৪৭ দশমিক ৬৩ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিজানুর রহমান।

শনিবার (১ জুলাই) ডিএসসিসির নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সার্বিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মিজানুর রহমান বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই শেষ করার নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কর্মপরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের প্রথম দিনের বর্জ্য আমরা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া আজ পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৩৮টি ট্রিপের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এতগুলো ট্রিপে আমরা ১৭ হাজার ২৪৭ দশমিক ৬৩ টন বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, এসব কাজের জন্য আমরা ৩৫০টি যান ব্যবহার করেছি। বর্জ্য অপসারণে প্রায় ১০ হাজার কর্মী মাঠে থেকে কাজ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছিল পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ভ্যানচালক যারা বর্জ্য সংগ্রহ করেন তাদের সংখ্যাও ছিল প্রায় তিন হাজার। বর্জ্য অপসারণের জন্য আরও প্রায় সাড়ে ৬শ’র মতো কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল, কে কার আগে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করবে। সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় গাড়ি এবং কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ড ভেদে তারা নিয়োগ করেছিল। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কর্মী কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত ছিল।

কোরবানির সময় ভারী বর্ষণ একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবুও সবার চেষ্টা ও আন্তরিকতায় ঢাকা শহরের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

মিজানুর রহমান বলেন, ডিএসসিসির পক্ষ থেকে ১০টি হাট পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি অস্থায়ী এবং একটি স্থায়ী হাট। ডিএসসিসির পক্ষ থেকে আমরা মূলত তিনটি কাজ করেছি। এর মধ্যে হাট ব্যবস্থাপনা, জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত করা এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এসব কাজ ডিএসসিসির মেয়র সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন। এসব কার্যক্রমের নেগেটিভ-পজিটিভ যেসব দিক আমরা পেয়েছি, সেগুলোর সমন্বয় করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেন আগামীবারের কার্যক্রম এবারের চেয়েও আরও গতিশীল হয়।

ডিএসসিসির সিইও বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কাজটি পরিচালনা করার জন্য মনিটরিং রুম থেকে সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় সময়ে এই মনিটরিং রুমে এসে ডিএসসিসির মেয়র বিভিন্ন পরামর্শ নির্দেশনা সরাসরি দিয়েছেন। এছাড়া যে ওয়ার্ডগুলোতে আগে বর্জ্য অপসারণের কাজ হয়ে গেছে সেই ওয়ার্ডগুলো থেকে কর্মী, পরিচ্ছন্নতার গাড়িগুলো আমরা পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডে পাঠিয়েছি যেন দ্রুততার সঙ্গে এই কাজগুলো শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে যেসব হাট  ছিল সে হাটগুলো আমরা ২৮ জুন রাত থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছি। এরইমধ্যে সেগুলোর বর্জ্যও অপসারণ করা শেষ হয়েছে। বৃষ্টি কারণে কাদা-মাটি হয়ে যাওয়ায় অনেক ভারী গাড়ি ঠিকমতো পৌঁছাতে পারেনি, কাজ করতে পারেনি। সে কারণে এখানে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।