ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাদিম হত্যা: এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
নাদিম হত্যা: এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি

জামালপুর: সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের এক মাস হতে চললো। প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হলেও তার ছেলে রিফাতসহ এই হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত ১৭ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

দ্রুত সময়ের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকরা।  

সোমবার (১০জুলাই) বেলা ১১টায় বকশীগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মানববন্ধনে এ দাবি জানান উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।  

মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের সব আসামির গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন। সাংবাদিকরা বলেন, যতদিন বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হবে ততদিন আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফাতিউল হাফিজ বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহীন আল আমিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাফিনুর ইসলাম মেজর, বকশীগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক লালন ও নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুন জান্নাত।

এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক সরকার আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি রতন, সমকাল পত্রিকার মাসুদ রানা, ভোরের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি মতিন, ভোরের কাগজ পত্রিকার বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রনি, দেশবাংলা ও জবাবদিহি পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আল মোজাহিদ বাবু, সাংবাদিক লিমন, সাংবাদিক বাবুলসহ বকশীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে, তারা আমার বাবাকে খুন করার উদ্দেশ্যেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে। আর এর পেছনেও যাদের ইন্ধন আছে, তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

গত ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। এরপর ১৫ জুন মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় ১৭ জুন দুপুরে বকশীগঞ্জ থানায় নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম একটি মামলা করেন। মামলায় ২২ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে।

মামলার দ্বিতীয় আসামি হলেন বাবুর ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত ও তৃতীয় আসামি করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রাকিবুল্লাহ রাকিবকে।

নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ১৬ জন। বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছে ১৫ জন আসামি। এর মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি বাবুসহ চারজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এসএফ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।