ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছয় বছরেও সংস্কার হয়নি একপাশ ধসে যাওয়া কালিখোলা ব্রিজ

এস এস শোহান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
ছয় বছরেও সংস্কার হয়নি একপাশ ধসে যাওয়া কালিখোলা ব্রিজ এক পাশ ধসে যাওয়া কালিখোলা ব্রিজ।

বাগেরহাট: ধসে যাওয়ার পরে ছয় বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিখোলা ব্রিজ। রাস্তার সঙ্গে সুপারি গাছ দিয়ে সংযোগ তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন পথচারীরা।

ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে ওই এলাকার মানুষের।  

সুপারি গাছ দিয়ে পার হওয়ায় মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ছয় বছরেও ব্রিজটি সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। শিগগিরই নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া বাজার-চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের মাঝে কালিখোলা নদীর ওপর থাকা ব্রিজের একপাশ ছয় বছর আগে ধসে গেছে। ফলে জিলবুনিয়া বাজারের দিকের রাস্তার সঙ্গে ব্রিজটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থায়নে সুপারি গাছ দিয়ে পথচারীদের চলাচলের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চিংড়াখালী, উত্তর চিংড়াখালী, দক্ষিণ চিংড়াখালী, কালিখোলা, গোপালপুর, শিংজোড় গোপালপুর, ঠোডার বাজার, কামলা বাজারসহ পুরো চিংড়াখালী ইউনিয়নের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। এই ইউনিয়নবাসীকে মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে এখানে উৎপাদিত কলা ও সবজি পরিবহনে ব্যয় বেড়েছে চাষিদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক শিকদার বলেন, ব্রিজটি ভাঙা থাকায় আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। বাজারে কলা, সবজি ও অন্যান্য মালামাল নেওয়ার ব্যয় বেড়ে গেছে।

দিলিপ রঞ্জন দাস নামে এক ব্যক্তি বলেন, বৃষ্টি মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই এই ব্রিজে দু-একটি ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। আর কতদিন এভাবে থাকলে ব্রিজটি সংস্কার করা হবে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

রুহুল আমিন নামে এক পথচারী বলেন, ব্রিজের দুই পাশের রাস্তা ভালো আছে। শুধু ব্রিজটি ভাঙা থাকায় যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন না এই এলাকার মানুষ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আরিফ সরদার বলেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন বাজার, স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যায়। উপজেলা ও জেলা সদরে যেতেও ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষকে এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ব্রিজটি ভাঙা থাকায় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক সময় ছোট-খাট দুর্ঘটনাও ঘটে হেঁটে ব্রিজ পার হওয়া পথচারীদের।
তিনি আরও বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পুরো ইউনিয়নবাসীর জন্য এই ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিদ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করার দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটির বিষয়ে আমার জানা নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যান কেউ কখনও আমাদের এ বিষয়ে জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।