ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে তিন মণ ধানের দামে মিলছে এক কেজি ইলিশ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
নীলফামারীতে তিন মণ ধানের দামে মিলছে এক কেজি ইলিশ! ইলিশ মাছ

নীলফামারী: বাজারে কাঁচা মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছ ও শাক-সবজির।

 

২৫০ থেকে ৩০০ টাকা নিচে কোনো রুই বা ওই জাতীয় মাছ নেই। টেংরার কেজি ৮০০ টাকা, পুঁটি মাছের কেজি ৬০০ টাকা। এ কারণে বাজারে সব মাছের চাহিদা কম।  

এদিকে প্রায় তিন মণ ধান বেচে এক কেজি ইলিশ কিনতে হচ্ছে নীলফামারীর কৃষকদের।

নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। প্রতিদিন বেচাবিক্রিতে সরগরম থাকার কথা থাকলেও অলস সময় পার করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন জুলাই মাসের শুরু থেকে মৌসুম শুরু হলেও বাজারে দেখা নেই ইলিশের।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪শ থেকে ১৫শ টাকায় বিক্রি হয়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এতে বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২০ জুলাই। স্থানীয় নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম। এজন্যই মাছের বাজার চড়া। নিষেধাজ্ঞা শেষে সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি ইলিশসহ অন্য মাছের দামও কমবে বলে তিনি আশাবাদী।

কৃষক সমশের আলী ও আবেদ আলী জানান, বর্তমানে বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা মণ দরে। তাই এককেজি ইলিশ মাছ কিনতে আমাদের মতো কৃষকদের তিন মণ বা তার বেশি ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব মাছ খাওয়া আমাদের মতো সাধ্যের বাইরে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।