ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, জীবন্ত পুঁতে রাখার এক বছর পর মিলল মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, জীবন্ত পুঁতে রাখার এক বছর পর মিলল মরদেহ

লালমনিরহাট: সৎ ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে জীবন্ত পুঁতে রাখার এক বছর পর আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের পশ্চিম রামদেব গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত আলমগীর হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আলমগীরের মায়ের জমি জবর-দখল করে ভোগ করছিলেন তার সৎ ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। বিষয়টি নিয়ে সৎ ভাইদের মধ্যে মলোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে আলমগীরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার।

পরিকল্পনা মতো গত বছরের ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় আলমগীরকে কৌশলে ডেকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম রামদেব গ্রামে নিয়ে যান সৎ ভাই খেলান, আব্দুস সাত্তার এবং সাত্তারের ভায়রা (শ্যালিকার স্বামী) পাবনার রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ড্রাইভার। এরপর পশ্চিম রামদেব গ্রামের আশরাফ আলী ও সেকেন্দার আলীর হাতে তুলে দেন তাকে। সেখানে কোমল পানীয়তে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় আলমগীরকে। পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রামদেব গ্রামে আশরাফ ও সেকেন্দার আলীর বাড়ির পিছনে একটি বাঁশ ঝাড়ের গর্তে তাকে জীবন্ত পুঁতে রাখা হয়।

এদিকে আলমগীরের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার কালীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর দুই মাস পরে একে একে খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়।

সম্প্রতি সাত্তারের ভায়রা পাবনার রাশেদুল ড্রাইভার নিখোঁজ আলমগীরের পরিবারকে ফোন করে হত্যার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। অবশেষে এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের আপন ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান পাবনার রাশেদুল ড্রাইভার এবং আদিতমারীর রামদেবের আশরাফ চোর ও সেকেন্দার আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

আটক রাশেদ ড্রাইভারের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রামদেব গ্রামের ওই বাঁশ ঝাড়ের গর্ত খুড়ে আলমগীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আটকদের দেওয়া তথ্য মতে গর্ত খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।