ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে ‘নিখোঁজ’, মুক্তিপণ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে ‘নিখোঁজ’, মুক্তিপণ দাবি

নারায়ণগঞ্জ: নদীপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে গত দুই দিনে ৯ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে মানব পাচারকারী চক্র।

প্রশাসন এখনও তাদের শনাক্ত করতে পারেনি।

শনিবার (২২ জুলাই) অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজদের কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।

ওকাপ জানায়, নিখোঁজদের মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নিখোঁজ ছয়জন হলেন- কল্যাণদী শেখবাড়ি এলাকার ইকবালের ছেলে নাজমুল হোসেন, সামছুদা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া, আ. হান্নান মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া, রিপন মিয়ার ছেলে হালিম মিয়া, মজিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া ও মিছির আলীর ছেলে শাহীন আলী। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী, বিলপাড়, শেখবাড়ি, রঘুনাথপুর, খোজ পাড়া ও জোকারদিয়া গ্রামের নয় ব্যক্তি নৌপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়েন। পরিবারের সদস্যদের কিছু না বলেই তারা বাড়ি থেকে চলে যান। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ফোনের মাধ্যমে একটি চক্র তাদের প্রত্যেকের পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা করে দাবি করে আসছে।

নিখোঁজ হৃদয়ের বাবা সামছুদা বলেন, গত দুইদিন ধরে আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। এক লোক নাম পরিচয় গোপন রেখে ফোন করে বলে, চার লাখ টাকা দিলে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেবে। টাকা না দিলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে বলছে। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।  

অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, আমরা নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। নিখোঁজদের তালিকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানোর কথা বলেছি। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করে থানায় জিডি করার কথা বলেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদের যা যা করণীয় সবই করব।

আড়াইহাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহাম্মেদ বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছি। সাম্প্রতিক সময়ে নয়জনের নিখোঁজের কথা শুনেছি। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।  

এর আগে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে আড়াইহাজারের ১২ জনকে মিয়ানমারের জেলখানায় বন্দি রাখা রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের মুক্তির দাবিতে গত ১১ জুলাই আড়াইহাজারের ইউএনও বরাবর একটি লিখিত আবেদন দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এমআরপি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।