ঢাকা: মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত সাত বছরের কন্যা আদিবাকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে মামলায় জড়িয়েছেন হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পর আটক হাবিবুরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, এ ঘটনায় চিকিৎসক বনি আমিন হাবিবুরের নামে নামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: শিশু ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নিয়ে হট্টগোল, বাবা পুলিশ হেফাজতে
এদিকে ডা. বনি আমিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২৬ জুলাই ভোর ৬টা ১০ মিনিটে হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চাকে নিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তখন তিনি মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি দায়িত্বরত নার্স ও স্টাফকে নিয়ে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাবিবুর রহমানকে জানান যে হাসপাতালে কোনো বিছানা খালি নেই। আপনি ঢাকা মেডিকেল অথবা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। বিছানা খালি না থাকার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছিল, রোগী এলেই অন্য হাসপাতালে রেফার করতে হবে। এ তথ্য হাবিবুর রহমানকে জানাই। এতে হাবিবুর রহমান উত্তেজিত হয়ে ডা. বনি আমিনকে পেটাতে শুরু করেন, সেই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তার স্ত্রীও আমাদের মারতে এলে ওয়ার্ড বয় জুয়েল এগিয়ে আসেন, এসময় জুয়েলও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ডা. বনি আত্মরক্ষার্থে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে নার্স রোজিনাকে মারধর করেন। হাসপাতালের দরজা জানালায় লাথি মারতে থাকেন। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ডা. বনি আমিন এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, তাদের হামলায় তার বাম হাতের ছোট আঙুল ভেঙে গেছে ও নিচের ঠোঁট ফুলে গেছে। এ হামলায় নার্স রোজিনা ও ওয়ার্ড বয় জুয়েল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া তাদের তাণ্ডবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা ব্যাহত হয়। রোগীরা দিক বেদিক দৌড়ে চলে যান ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর শিশুটিকে নিয়ে তার মা বাসায় চলে গেছেন। জানা যায়, বাসায় শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এজেডএস/এসআই