ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৩ শর্তে ‘পছন্দের জায়গায়’ সমাবেশের অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
২৩ শর্তে ‘পছন্দের জায়গায়’ সমাবেশের অনুমতি

ঢাকা: বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনকে শুক্রবার সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে এবং আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ কথা জানান।  

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের আশুরার নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ থাকার পরও রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৩টি শর্তে বিএনপি নয়পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজ সমাবেশ ছিল। কার্যদিবসে সমাবেশ না করায় পুলিশ ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে দুই দলকেই ধন্যবাদ জানাই।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুই দলের সমাবেশস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, এপিবিএনসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে, বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সমাবেশকে ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, ও বিজিবি ও আনসার মোতায়েন থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাবেশস্থলের সুনির্দিষ্ট এলাকায় অর্থাৎ নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে জনসমাগম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলে কেউ ব্যাগ-লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। ডিএমপি থেকে যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এই সীমানার বাইরে তারা মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। জনদুর্ভোগ এড়ানোর জন্য তারা নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখবে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তাদের যে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন, তারা যেন পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেছন, সবকিছু বিবেচনাপূর্বক শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যে প্রক্রিয়া, সেটা আমরা অবলম্বন করেছি। পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

এ সময় সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, গ্রেপ্তারের সংখ্যা পাঁচশর বেশি। গতকাল থেকে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে।  

দুই দলই প্রথমে বৃহস্পতিবার সমাবেশ করতে চেয়েছিল। পরে বুধবার রাতে প্রথমে বিএনপি এবং পরে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার নেয়।

রাজধানীতে সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার  তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো ঝামেলা করা যাবে না, জনদুর্ভোগ করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।