ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউয়ের অনুদানকে স্বাগত জানাল ইউএনএইচসিআর

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউয়ের অনুদানকে স্বাগত জানাল ইউএনএইচসিআর

ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতাদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সাহায্য বিভাগ থেকে ৩ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর (৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য) অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই)  ইউএনএইচসিআর জানায়, এই অর্থের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে সাইক্লোন মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনও করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং সারা বিশ্বে ইউএনএইচসিআরের মানবিক কর্মকাণ্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টেটিভ) ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুদান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ও জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে আমাদের সাহায্য করে। এই নতুন তহবিল শরণার্থীদের সাহায্য করবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনে, আর পাশাপাশি আমাদের সাহায্য করবে সাইক্লোন মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা পুনঃনির্মাণ করতে।  

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রমের প্রায় ছয় বছর হতে চলেছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও ভাসান চরে ইউএনএইচসিআরের কাজে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নিয়মিত সহায়তা বরাবরের মতই অমূল্য।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক কর্মকাণ্ডের তত্ত্বাবধায়ক আনা অরল্যান্ডিনি বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কক্সবাজার ও ভাসান চরের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সুরক্ষা, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মঙ্গল। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই অনুদানের মাধ্যমে আমাদের অংশীদার ইউএনএইচসিআর সব শরণার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সেবা চালু রাখবে। এর পাশাপাশি সাইক্লোন মোখায় আঘাতের পর শরণার্থীদের বাসস্থান পুনঃনির্মাণে ইউএনএইচসিআরের কাজে অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই আর্থিক সহায়তা কক্সবাজারের ক্যাম্পে শরণার্থীদের আইনী সহায়তা, নিবন্ধন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা, এবং শিশুদের সুরক্ষা পেতে সাহায্য করবে। আর ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য বিদ্যমান সব ধরনের সুরক্ষা পরিষেবা অব্যাহত রাখবে।

এই অবদান কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি সহায়তাও নিশ্চিত করবে, যেন তাদের আশ্রয়ের উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে তাদের জীবন পুনঃনির্মাণ সম্ভব হয়।

মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে শরণার্থী হতে বাধ্য হওয়ার ছয় বছর পর প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত। এর অধিকাংশ মানুষ কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে বসবাস করে। ভাসানচরে আছে প্রায় ৩০ হাজার শরণার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩ 
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।