ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জুড়ীতে নবনির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কে ধস

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
জুড়ীতে নবনির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কে ধস ধসে যাওয়া নবনির্মিত ব্রিজ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নবনির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। হাঁটা ছাড়া কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না সেতুর ওপর দিয়ে।

ফলে সেতুর সুফল ভোগ করতে পারছে না স্থানীয়রা।  

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ভুয়াই তেঘরীঘাট থেকে উত্তর শাহপুর গ্রামের সংযোগ রাস্তায় মালেক মিয়ার বাড়ির সামনে ঘুঙ্গিজুড়ী খালের ওপর ১৫ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয়ে কুলাউড়া উপজেলার ‘ফ্রেন্ডস এন্টারপ্রাইজ’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায় এবং গত জুন মাসের শেষ দিকে কাজটি সম্পন্ন হয়। নির্মাণ শেষে সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও তাতে ইট সলিং করা হয়।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা জুনেদ আহমদ গত ১৭ জুলাই জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কয়েকদিন পর বৃষ্টি হলে সেতুর দুই পাশের সড়ক ধসে পড়ে। ধসে যাওয়ার পর সেতু সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা মাহতাব মিয়া ইটগুলো তুলে নিয়ে বিক্রি করে দেন।

নবনির্মিত সেতুর দুই পাশে কোনো রকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না করে মাটি ভরাট করায় নির্মিত সংযোগ সড়ক ধসে পড়েছে। সড়কের মধ্যখানে কিছু জায়গায় ইট বিছানো, যার ওপর দিয়ে লোকজন কোনো মতে হেঁটে চলাচল করছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহতাব মিয়া বলেন, ঠিকাদার কাজ করে চলে যাওয়ার পর বৃষ্টির কারণে সদ্য ভরাট করা মাটি ধসে ইট পানিতে পড়ে যায়। আমি স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ইটগুলো তুলে সেতুর ওপরে স্তূপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু কিছু ইট চুরি হয়ে যাওয়ায় সরল মনে সেগুলো বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল পানি কমলে এই টাকা দিয়ে মাটি ভরাট করে সড়কটি মেরামত করব। কিন্তু পরে সেগুলো বিক্রি না করে স্থানীয় মনির আলীর বাড়িতে তিন হাজার ইট জড়ো করে রেখেছি। বর্তমানে চলাচলের জন্য সড়কের মধ্যখানে আমিই বাঁশ দিয়ে ইটগুলো বিছিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ এখানে পরিকল্পনায় ভুল করেছে। দুই পাশে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করলে সড়কটি ধসে পড়তো না। সরকারের টাকারও অপচয় হতো না এবং জনগণও দুর্ভোগে পড়তো না।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, ইট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছেন সেগুলো বিক্রি করেননি, নিরাপদে সরিয়ে রেখেছেন। বর্ষার পানি কমলেই কাজটি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৩
বিবিবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।