ঢাকা: চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৩৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১১০ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে কম ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।
এসসিআরএফ জানায়, রেলপথ দুর্ঘটনার ওপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, নয়টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ছয়টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
এসসিআরএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। এপ্রিলে ১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ২০ ও ৬৯।
মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। এতে ২৫ জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে। জুনে ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১৯ ও ১৩।
রেল পরিবহন ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনার ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্ঘটনার নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ।
কারণগুলো হলো: কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, সিগনালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, ইঞ্জিনের সক্ষমতার অতিরিক্ত বগি সংযোজন, রেললাইনে পাথরের স্বল্পতা, ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু, আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, জনবল সংকট এবং নড়বড়ে ট্র্যাক তথা রেললাইনে নিম্নমানের স্লিপার ও ফিশপ্লেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। রেলপথ বাড়লেও দীর্ঘদিনের পুরনো লাইনগুলো ঠিকমতো সংস্কার না করায় দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে কাঙ্খিত সুফল মিলছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
টিএ/আরআইএস